একের পর এক কেন্দ্র থেকে এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, আজ সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর পরই উপজেলার প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র থেকে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন জোরপূর্বক তাঁর এজেন্টদের বের করে দেন। একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে দোয়াত–কলম প্রতীকে সিল মারা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত–কলম প্রতীকের লোকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারের সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, ব্যালট পেপারে আগে সিল মারার কয়েকটি ভিডিও তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেননি। আজাদ খান জানান, তিনি শুধু মাত্র সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছে, কিন্তু প্রশাসন সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি এই পাতানো নির্বাচন বাতিল দাবি করেন।
আজাদ খানের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দোয়াত–কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক শামীম আরা প্রথম আলোকে বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যেকয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া কিংবা ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ প্রার্থী তাঁর কাছে করেননি। প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন, সেগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।