আসন্ন দুর্গাপূজা বাধামুক্ত ও নিরাপদে উদ্যাপনের পরিবেশ সৃষ্টি এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ৪০ জন নাগরিক। আজ শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এই দাবি জানান।
২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বিবৃতিতে নাগরিকেরা বলেন, কয়েক দশক ধরেই পূজা এলেই একটি মহল ধর্মভিত্তিক উত্তেজনা ছড়িয়ে নাশকতার মাধ্যমে পরিবেশকে অশান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে। এবারও এর ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে না। ধর্ম অবমাননার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভাঙচুর চালানোর উদাহরণ অতীতে দেখা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্য প্রচার, ফেসবুকে নানা ধরনের সাজানো গল্প ছড়িয়ে উত্তেজনা তৈরি করে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর ও মন্দিরে হামলার তথ্যও পাওয়া গেছে।
বিবৃতিতে নাগরিকেরা বলেন, তাঁরা বিশ্বাস করতে চান, সরকার তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাঁরা দাবি জানান, যারা এসব উত্তেজনা তৈরি করছে কিংবা কোনো সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আগেভাগেই কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দলমত ও ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবাইকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বানও জানান তাঁরা।
বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন আনু মুহাম্মদ, সুলতানা কামাল, ইফতেখারুজ্জামান, খুশী কবির, জেড আই খান পান্না, পারভীন হাসান, সুব্রত চৌধুরী, গীতি আরা নাসরিন, সারা হোসেন, সামিনা লুৎফা, সুমাইয়া খায়ের, রোবায়েত ফেরদৌস, খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, জোবায়দা নাসরিন, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, মির্জা তাসলিম সুলতানা, তবারক হোসেন, শহিদুল আলম, রেহনুমা আহমেদ, নাসরিন খন্দকার, শামসুল হুদা, সাঈদা গুলরুখ, শাহনাজ হুদা, সালমা আলী, মিনহাজুল হক চৌধুরী, রোজিনা বেগম, মাইদুল ইসলাম, স্বপন আদনান, মনিন্দ্র কুমার নাথ, রেজাউল করিম চৌধুরী, নোভা আহমেদ, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান, আশরাফ আলী, শাহদাত আলম, নাজমুল হুদা, মো. আজিজুল্লাহ ইমন, দীপায়ন খীসা, হানা শামস আহমেদ ও মুক্তাশ্রী চাকমা।