২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

২২ ঘণ্টা পর লঞ্চ চালু, ফেরি পারাপার ব্যাহত

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌপথে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা, রাজবাড়ী, ২৭ আগস্টছবি: এম রাশেদুল হক

বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌপথে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নদীতে প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলছে এসব লঞ্চ। তবে পদ্মায় প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট থেকে লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। অপরদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকেও লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে ফিরছে। লঞ্চগুলো ঘাট ছেড়ে কিছুটা দূর নদীতে যাওয়ার পরই শুরু হয় দোল খাওয়া। প্রবল স্রোত ও বাতাসের কারণে বড় বড় ঢেউ পাড়ে এসে আছড়ে পড়ছে।

পাটুরিয়া থেকে আসা এমভি পর্বত লঞ্চের যাত্রী আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ঈশান গোপালপুর জরুরি কাজে যাচ্ছেন তিনি। দ্রুত নদী পাড়ি দিতে ফেরির পরিবর্তে লঞ্চে ওঠেন তিনি। ভেবেছিলেন তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু লঞ্চটি নদীর মাঝামাঝি না পৌঁছাতেই যেভাবে দোল খাচ্ছিল, তাতে সব যাত্রী ভয় পেয়েছিলেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁর মতো অনেকেই লঞ্চে নদী পার হয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার সারা দিন ও রাতভর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় প্রায় ২২ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌপথে ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা, রাজবাড়ী, ২৭ আগস্ট
ছবি: এম রাশেদুল হক

এদিকে নদীর প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগের থেকে সময় বেশি লাগায় যানবাহন দ্রুত পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এবং পাটুরিয়া প্রান্তে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে।

খুলনা থেকে আসা আইসক্রিমবাহী গাড়িচালক আব্দুস সামাদ বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ মোড় পৌঁছালে স্থানীয় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। রাতভর থাকার পর ভোরে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে দেয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে শুধু দৌলতদিয়ায় আটকে থাকেন। রাতভর সড়কে থাকায় গাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে না। এতে তাঁদের ভীষণ কষ্ট হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মাহবুব আলী সরদার বলেন, বুধবার সারা দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। যে কারণে গাড়ি পারাপার কম হয়। অন্যদিকে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে তুলনামূলক বেশি পণ্যবাহী গাড়ি আসে। এসব কারণে ঘাটে গাড়ির চাপ রয়েছে। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে এখনো ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।