হামলায় দুজন টেঁটাবিদ্ধ, ককটেলের বিস্ফোরণ

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় হামলা চালিয়ে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্য ও তাঁর ভাতিজাকে টেঁটাবিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আজ সোমবার দুপুরে নলবাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলজার হোসেন (৪৫) ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়ামিন হোসেন (১৭)। তাঁরা নলবাটা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল কবির বলেন, গোলজার হোসেনের গালে, বুকে ও পায়ে এবং ইয়ামিনের দুই ঊরুতে টেঁটার মতো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা যাননি। স্বজনদের ইচ্ছায় তাঁরা এখানেই ভর্তি আছেন।

নলবাটা এলাকার রফিকুল ইসলাম ও গোলজার হোসেনের মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

আহত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন ও পুলিশ বলছে, নলবাটা এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রফিকুল ইসলাম ও গোলজার হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গোলজার একটি মামলায় কারাগারে ছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় যান। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোলজার সাত-আটজন লোক নিয়ে একটি মাদ্রাসার সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রফিকুলের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন তাঁদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটিয়ে গোলজার ও ইয়ামিনকে টেঁটাবিদ্ধ করে পালিয়ে যান। লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে আমিরগঞ্জ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।