কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের সহযোগী শাখাওয়াত হোসেন জুয়েলকে (৪৮) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের গান্ধাচি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. সোহান সরকার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার গান্ধাচি গ্রামে অভিযান চালিয়ে শাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রগুলো কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমের। শাখাওয়াতের সঙ্গে একসময় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন শাহ আলম। সেই পরিচয়ের সূত্রে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা। ২২ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে শাহ আলম গান্ধাচি গ্রামে শাখাওয়াতের বাড়িতে যান। ২৪ নভেম্বর সকালে শাহ আলম অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যান। অস্ত্রগুলো সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন রাতে শাহ আলম শাখাওয়াতের বাড়িতে যান। ২৪ নভেম্বর সকালে শাহ আলম অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যান। অস্ত্রগুলো সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় পরের দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এ পর্যন্ত এজাহারনামীয় পাঁচজন ও সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় দুই আসামি মারা যান। আরও চার আসামির মধ্যে প্রধান আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল, ১০ নম্বর আসামি সায়মন ও ১১ নম্বর আসামি রনি পলাতক।