সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে পালিয়েছেন ঠিকাদার, পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রধান সড়কের নির্মাণের কাজ ফেলে পালিয়েছেন ঠিকাদার। এতে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় মানুষ। অতিষ্ঠ হয়ে ১৫ গ্রামের মানুষ সড়কটি পুনর্নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে। আজ শুক্রবার উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের সামনের সড়কে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পাঁচটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সমমনা প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা শামসুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরজাহান, সমমনা প্ল্যাটফর্মের উদ্যোক্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, পীর মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম, জুলহাস উদ্দীন, আশরাফুল আলম, ইমরান হোসেন, স্থানীয় হোসেনপুর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই, হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য মোক্তার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রধান সড়ক মঙ্গলেরগাঁও বটতলা থেকে নবীনগর পর্যন্ত সড়টি পুনর্নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ডলি কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি পুনর্নির্মাণের কার্যাদেশ পায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পুরো সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ি করে কাজ না করে প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যায়। দুই বছর ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখা এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে স্থানীয় চৌধুরীগাঁও, তাতুয়াকান্দি, রামগোবিন্দেরগাঁও, চেলারচর, হোসেনপুর, একরামপুর, নবীনগর, এলাহীনগর, ফতেপুর, ইসলামপুর, শম্ভুপুরা ও দড়িগাঁওসহ ১৫ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই সড়ক দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
রামগোবিন্দেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রেখে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় দুই বছর ধরে ১৫ গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলজিইডির সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী আরজুরুল হক বলেন, সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ি করে ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার কারণে দুই বছর ধরে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ হচ্ছে এ কথা সত্য। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে।