স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজন আটক
মাগুরায় স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করেছে যশোরের র্যাব-৬। আটক দুই যুবককে নির্যাতনের শিকার নারী ও তাঁর স্বামী চিহ্নিত করেছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁদের মাগুরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক দুজন হলেন মাগুরা সদর উপজেলার ছোনপুর গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও একই উপজেলার চাপড়া গ্রামের মৃত গোলাম রসুল মোল্লার ছেলে মো. আসাদ মোল্লা।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী কৃষিশ্রমিকের কাজ করতে ২০ দিন আগে ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা সদর উপজেলার একটি গ্রামে আসেন। তাঁরা নিজেদের একটি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে ধান বহনের কাজ করছিলেন। নিজেদের থাকার কোনো জায়গা না থাকায় সদর উপজেলার একটি গ্রামের মাঠে অস্থায়ী খুপরি বানিয়ে থাকছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে পাঁচজন অস্ত্রের মুখে গৃহবধূর স্বামীকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
যশোর র্যাব-৬–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম সারোয়ার হুসাইন প্রথম আলোকে জানান, মাগুরা সদর থানায় হওয়া একটি ধর্ষণ মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সোমবার রাতে মাগুরা সদর উপজেলার বাটিকাবাড়ি বাজার থেকে ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারী তাঁদের চিহ্নিত করেন। আটক দুজনের কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও একটি সিম জব্দ করা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে হওয়া ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িত কি না, তা যাচাই–বাছাই করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জানান, রোববার ওই গৃহবধূর করা মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, স্থানীয় না হওয়ায় তাঁরা কারও পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেননি। এ কারণে অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে জড়িত ব্যক্তিদের দেখলে চিনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।