নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তাহমিনা পারভীনের নির্বাচনী প্রচার মাইক ভেঙে কংশ নদে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌর এলাকায় ১ নম্বর ওয়ার্ডের নওহাল স্লুইস গেট এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী লতিফুর রহমানের কর্মী–সমর্থকেরা এই কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ করেছেন তাহমিনা পারভীন।
মুঠোফোনে তাহমিনা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে একটি ইঞ্জিনচালিত রিকশায় করে তাঁর দুজন সমর্থক নারকেলগাছ প্রতীকে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। নওহাল এলাকায় এলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে ওই রিকশার গতি রোধ করেন। পরে তাঁরা রিকশা থেকে তাঁর সমর্থকদের মারধর করে নামিয়ে মাইক ও ব্যাটারি ভেঙে নদে ফেলে দেন। বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ নির্বাচন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
তাহমিনা পারভীন বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন নানাভাবে আমার প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী–সমর্থকদের মারধর, হামলা, ভয়-ভীতি ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এতে করে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি প্রশাসনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করলেও জোরালো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী লতিফুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, নারকেলগাছ প্রতীকের প্রার্থী মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে লতিফুর রহমান নৌকা, তাহমিনা পারভীন নারকেলগাছ ও চৌধুরী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মোবাইল প্রতীক পান। তাঁদের মধ্যে লতিফুর রহমান বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাহমিনা পারভীন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বাবা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ আজাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। চৌধুরী আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।