স্কুলের শৌচাগারে ছাত্রী আটকে পড়ার ঘটনায় আয়া বরখাস্ত
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় স্কুলের শৌচাগারে এক বাক্প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ১০ ঘণ্টা আটকে থাকার ঘটনায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে ওই স্কুলের আয়া শাহানারা আক্তারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলার হোসেনপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং আয়া শাহানারা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তাকর্মী কবির হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি। শনিবার শাহরাস্তি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার পর শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী বাক্প্রতিবন্ধী ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির কিছু আগে দুপুর ১২টার দিকে শৌচাগারে যায়। এর মধ্যে ছুটি হয়ে গেলে সব শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে যায়। এরই মধ্যে স্কুলের আয়া শাহানারা বেগম শৌচাগারের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এতে সে শৌচাগারে আটকা পড়ে।
পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে না আসায় তার বাবা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। এমনকি সহপাঠীদের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ না পেয়ে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। রাত ১০টায় আল–আমিন নামের এক ব্যক্তি স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই শৌচাগারের ভেন্টিলেটরে কারও হাত দেখতে পেয়ে বিষয়টি সবাইকে জানান। পরে এলাকাবাসী স্কুলে ঢুকে তালা ভেঙে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দিয়েছেন। কারণ, তিনি (প্রধান শিক্ষক) এ ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না।