স্কুলব্যাগ দেখে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল মেয়েটির লাশ
বই–খাতা নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরের পর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল জাকিয়া আক্তার (১১)। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করেন। আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিলের পাশে মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বনড়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাকিয়ার বাড়ি একই উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে। সে উপজেলার বাসুদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবার নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। পেশায় তিনি সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।
জাকিয়ার চাচা উপজেলার কানাইবাড়ি স্কুলের শিক্ষক রাজু আহমেদ বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় প্রায় এক মাস হলো জাকিয়া তরলা বাজার এলাকায় ফুফাতো ভাই শরিফুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। শনিবারও প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। সন্ধ্যা হওয়ার পরও যখন সে বাড়ি ফিরছিল না, তখন জাকিয়ার মা জানতে পারেন মেয়ে প্রাইভেট পড়তে ওই বাড়িতে যায়নি। আজ সকালে শিক্ষক শরিফুলের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বিলের রাস্তার পাশে নতুন মাটির ঢিবি দেখতে পান এলাকার লোকজন। পরে কাছে গিয়ে তাঁরা স্কুলব্যাগের অংশ বের হয়ে থাকতে দেখেন। সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে।
আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই মেয়েশিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক সুরতহালে দেখা যায়, মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের ধরা হবে।