সৈকতের গুপ্তখাল থেকে ভেসে উঠল স্কুলছাত্রের মরদেহ

লাশ।
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের শৈবাল পয়েন্টে গতকাল রোববার সকালে গোসলে নেমে নিখোঁজ স্কুলছাত্র ইশরার হাসনাইনের (১৭) মরদেহ আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভেসে উঠেছে। স্থানীয় লাইফগার্ডের কর্মীরা জানান, তার মরদেহ সৈকতে সৃষ্ট একটি গুপ্তখালে আটকে ছিল। জোয়ারের ধাক্কায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বেসরকারি সি সেফ লাইফ গার্ডের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের মতো আজ সকাল থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের সন্ধানে মাঠে নামেন লাইফ গার্ডের কর্মীসহ ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। বেলা ১১টার দিকে সৈকতে জোয়ার শুরু হয়। এ সময় জোয়ারের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মরদেহ ভেসে ওঠে। লাইফ গার্ডের কর্মীরা সাগরের পানি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বালুচরে নিয়ে আসেন। এরপর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল আটটার দিকে ইশরার হাসনাইন তিন বন্ধুকে নিয়ে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টের কবিতা চত্বর এলাকায় গোসলে নামে। এ সময় ঢেউয়ের ধাক্কায় একজন সহপাঠী ভেসে গেলে তাকে উদ্ধার করতে নামে ইশরার। তখন স্রোতের টানে ইশরার নিখোঁজ হয়। এরপর লাইফ গার্ডের কর্মীরা সাগরে নেমে একজনকে উদ্ধার করলেও ইশরার নিখোঁজ ছিল। ইশরার কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে শহরের বাজারঘাটা এলাকার আমান উল্লাহর ছেলে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সাগর প্রচণ্ড উত্তাল। গত ১ এপ্রিল থেকে সৈকতে পর্যটকসহ লোকসমাগম নিষিদ্ধ করে জেলা প্রশাসন। লোকশূন্য ফাঁকা সৈকতে কোনো মানুষ যেন নামতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন বলেন, স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইশরার হাসনাইন দশম শ্রেণির বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র ছিল।