সেতুতে নিষিদ্ধ, ফেরি বন্ধ, ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা
নাব্যতা–সংকট ও পদ্মা নদীতে স্রোত থাকায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। ফেরি বন্ধ থাকায় ও পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। ট্রলারে করে ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক দিন আগে গত শুক্রবার বিকেল থেকে শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। রোববার যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দিলে নৌপথ পার হওয়ার জন্য কোনো যানবাহন ওই ঘাটে যায় না। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার বন্ধ করা হলে বিপাকে পড়া মোটরসাইকেল আরোহীরা ফেরিঘাটে যান। সোমবার মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য সাত্তার মাদবর, মঙ্গল মাঝির ঘাটের উদ্দেশে যায় কুঞ্জলতা নামে একটি ফেরি। তবে ফেরিটি পদ্মা নদীর পাইনপারা চ্যানেলে আটকে যায়। এরপর সেটিকে উদ্ধার করে শিমুলিয়া ঘাটে নেওয়া হয়। এ কারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিটিসি) ওই নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখে। পদ্মা নদী পারাপার হতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা। উপায়ন্তর না দেখে ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এখন ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন।
মাদারীপুরের ছিলারচর এলাকার বাসিন্দা মোতালেব ঢালী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করি। জরুরি কাজ সেরে আবার গ্রামে ফিরে আসি। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। আবার ফেরি বন্ধ। তাহলে আমরা কীভাবে পদ্মা নদী পার হব? বাধ্য হয়ে ট্রলারে চেপে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছি।’
শরীয়তপুরের গোসাইর হাটের সামন্তসার এলাকার বাসিন্দা কায়সার আহম্মেদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে মোটরসাইকেল পারাপারের কোনো ব্যবস্থা নেই। পদ্মা উত্তাল, কয়েক দিন আগে একটি ট্রলার ডুবে ভোলার এক ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন। এখন ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিতে ভয় লাগছে। তারপরও বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি জেনেই ট্রলারে পদ্মা পার হচ্ছি।’
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক জামিল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, নাব্যতা–সংকটের কারণে পদ্মায় ফেরি চলতে পারছে না। জাজিরা প্রান্তে নদীতে স্রোত, সেখানে ফেরি চালানো যাচ্ছে না। আরেকটি অংশে নাব্যতা–সংকট রয়েছে, সেখানে ফেরি আটকে যাচ্ছে। তাই আপাতত এ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।