সুবীর নন্দীর মরদেহ ঢাকায় এসেছে, আজ দাহ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে আজ বুধবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। একুশে পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী বাংলাদেশ সময় গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত চারটায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আজ সুবীর নন্দীর মরদেহ ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর গ্রিন রোডের বাসায়। সেখান থেকে মরদেহ বেলা ১১টার দিকে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।
দুপুর ১২টার দিকে শিল্পীর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেওয়া হবে এফডিসিতে। সেখান থেকে নেওয়া হবে রামকৃষ্ণ মিশনে। পরে দাহ করার জন্য নেওয়া হবে সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানে।
বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছিলেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। ১৮ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সেদিন বিকেলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে বরেণ্য এই শিল্পীর চিকিৎসা শুরু হয়। সিঙ্গাপুর নেওয়ার দুই দিন পর সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও এরপর অবনতি হতে থাকে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালে পরপর তিনবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও একবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছিল।
বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। ১৯৮১ সালে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। সুবীর নন্দী প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেছে কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীকে।