সুনামগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তরুণীকে ধর্ষণের ন্যায়বিচার দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে হাজং তরুণীকে ধর্ষণের ন্যায়বিচার দাবিতে মানববন্ধন। শনিবার দুপুরে পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে
প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এক হাজং তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন (বাহাছাস) কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের আলফাত স্কয়ারে এ মানববন্ধন হয়।

আয়োজকেরা জানান, গত ১৪ আগস্ট সকালে ওই তরুণী তাঁর বাড়ির পাশের পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গেলে সেখানে একই গ্রামের আবদুর রশিদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মা তাহিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পরপর পুলিশ রশিদকে গ্রেপ্তার করে।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ অ্যান্ড্রু সালমান, আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিতেন্দ্র হাজং, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব চঞ্জনা চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি চিরান, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, সাংবাদিক শামস শামীম, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ মনি প্রমুখ।

গত ১৪ আগস্ট সকালে ওই তরুণী তাঁর বাড়ির পাশের পাহাড়ি ছড়ায় গোসল করতে গেলে সেখানে একই গ্রামের আবদুর রশিদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন।
হাজং তরুণীকে ধর্ষণের ন্যায়বিচার দাবিতে বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন (বাহাছাস) কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন। শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে
প্রথম আলো

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই তরুণী চিৎকার করছিলেন। এ সময় রশিদ তাঁকে মারধর করেন। বৃষ্টির কারণে আশপাশের লোকজন তাঁর চিৎকার শুনতে পাননি। ঘটনার পর মেয়েটির পরিবার কী করবে বুঝে উঠতে পারেনি। ঘটনার দিন এলাকার লোকজন সালিস করায় অনেকটা সময় চলে যায়। ঘটনাস্থলে তখন স্থানীয় নেতারা ও পুলিশ ছিল। পুলিশ একপর্যায়ে রশিদকে আটক করে ও ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবারকে থানায় যেতে বলে। পরে রাতে থানায় মামলা নেওয়া হয়। পরদিন ওই তরুণীকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে।

বক্তারা বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো অবহেলা বা এতে কারও প্ররোচনা থাকলে তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মামলা পরিচালনায় ওই দরিদ্র, অসহায় পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।