সীতাকুণ্ডে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্য কারাগারে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের আদালত পরিদর্শক হুমায়ূন কবির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা ডাকাতি মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় আবু জাফর নামের এক ব্যক্তি এসআই সাইফুল ইসলামসহ (৩২) পাঁচজনকে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় ডাকাতির মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওসির দেহরক্ষী কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম (২৭), পুলিশের তথ্যদাতা রিপন (৩৫) ও হারুন (৩৩) এবং গাড়িচালক রাজু (২৫)।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী আবু জাফর জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার বিনোদচরের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গাজীপুর সিটি এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন।
ইয়াবা না পেয়ে আবু জাফরের কাছে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে টিকিট কেটে তাঁকে গাড়িতে তুলে দেন সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাইফুল ইসলামসহ মামলার আসামিরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বাদী আবু জাফর গাড়ি কেনার জন্য ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে সীতাকুণ্ডে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছে আসেন। দরদামে বনিবনা না হওয়ায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফিরে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ডের একটি টিকিট কাউন্টারে বসেছিলেন। এ সময় সাদাপোশাকে এসআই সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল সাইফুল ওই তিন পুলিশের সোর্সকে সঙ্গে নিয়ে কাউন্টারে গিয়ে আবু জাফরের কাছে ইয়াবা আছে বলে দাবি করেন। পরে তাঁকে সেখান থেকে সীতাকুণ্ড জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে শরীর স্ক্যান করা হয়। এ সময় ইয়াবা না পেয়ে আবু জাফরের কাছে থাকা ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে টিকিট কেটে গাড়িতে তুলে দেন ওই পুলিশ সদস্যরা।
আবু জাফরের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশের দুই তথ্যদাতা ও গাড়িচালক পলাতক।
পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রচলিত আইনে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।