দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী দুজন তরুণ। তাঁরা গড়নে হালকা স্বাস্থ্যের। এ কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, কারণ বের করার চেষ্টা চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে হালকা স্বাস্থ্যের দুজন তরুণ। তবে তাদের চেহারা পুরো বোঝা যাচ্ছে না। হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করেছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তিনি আশাবাদী, খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনওদের বাসভবনে পাহারার জন্য আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাতে আনসার-ব্যাটালিয়ন নিয়োগ করা যায় তা নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন তাঁরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আহত ইউএনওকে সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নির্দেশ আছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতের কোনো একসময়ে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে ঢুকে সন্ত্রাসীরা ইউএনও ও তাঁর বাবাকে কুপিয়ে জখম করে। তাঁকে রংপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে আনা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। হামলায় আহত ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের চিকিৎসকেরা।