সিলেটে বন্যাকবলিত ৩৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে আবারও সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় জেলার ৩৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে এ তথ্য দিয়েছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত এরশেদ বলেন, জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টি বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, সেগুলোতেও পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিলেটের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৬০৭টি উচ্চবিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ১৫০টি। এর মধ্যে ১৩৭টিতে বন্যায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে ৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় সেখানেও পাঠদান বন্ধ আছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। যদি নতুন করে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়, তবে সেগুলোও বন্ধ রাখা হবে।
গতকাল বুধবার সিলেটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। এতে নগরসহ জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলায় ছয় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এর আগে গত ১৪ মে থেকে সিলেট নগরসহ ১৩টি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। এতে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার বন্যার আশঙ্কায় মানুষ চিন্তিত।