সিলেটে এক মাসে ৫১ পুলিশ সদস্যের রক্তদান, পুরস্কারের ঘোষণা
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ব্লাড ব্যাংকের যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল গত ১০ ডিসেম্বর। এই এক মাসেই ব্যাংকটিতে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন ৫১ পুলিশ সদস্য। রক্তদাতা এসব পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। আজ সোমবার নগর পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এসএমপির পুলিশ লাইনসে মাসিক কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, উপকমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ, উপকমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমদ, উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. জাবেদুর রহমান, উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. সোহেল রেজা, উপকমিশনার (ডিবি) সঞ্জয় সরকার বক্তব্য দেন। সভায় র্যাব-৯, পিবিআই, হাইওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে থানা পুলিশের প্রতিনিধিসহ এসএমপির সব অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মহানগরের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তদন্তাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এসএমপির সব থানার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখা, নগরীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকা এবং পুলিশের সেবাগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার।
এসএমপি ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছায় রক্তদানের তথ্য সভায় উপস্থাপন করা হলে পুলিশ কমিশনার রক্তদাতা পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বলেন, এক মাসে এসএমপি ব্লাড ব্যাংকে ৫১ পুলিশ সদস্য স্বেচ্ছায় রক্ত দান করছেন। তাঁদের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশের যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও মাদক সম্পৃক্ততায় জিরো টলারেন্সে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন, ড্রেস কোড মেনে চলা, শৃঙ্খলা বজায় রেখে আয়নাল ডিউটি করা, সেখানকার অনৈতিক অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে।
নগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত বছরের ডিসেম্বরে মাসিক কল্যাণ সভায় মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস শাখায় কর্মরত পুলিশের নায়েক সফি আহমেদের প্রস্তাব অনুযায়ী মানবিক কাজের জন্য এসএমপি ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই ব্ল্যাড ব্যাংকে পুলিশ সদস্যদের যাঁরা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করবেন, তাঁদের জন্য এক দিনের বিশ্রামসহ যা যা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বর মাসের সভায়।