সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ও তাঁর স্ত্রীসহ ১৯৫ জনের নামে আরেকটি হত্যা মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নায়ার কবীরসহ ১৯৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি করেন বুধল উত্তরপাড়ার বাসিন্দা আকরাম হোসেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ মার্চ নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের গুলিতে নিহত হন আকরামের ভাতিজা কাউসার আহম্মেদ।

এ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী মোকতাদিরের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাতটি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাঁচটি হত্যা মামলা ও দুটি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা।

নতুন মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ও সিটি মডেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন হয়। ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। মোদিবিরোধী একটি মিছিল সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব থেকে নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকার সামনে গেলে গুলি করে ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেন মোকতাদির। ওই সময় মোকতাদির, তাঁর স্ত্রী ফাহিমা খাতুন ও সাবেক পৌর মেয়র নায়ার কবীরের হুকুমে ও নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, কৃষক লীগ, তাঁতী লীগের ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আসামিরা হাতে থাকা বন্দুক, পিস্তল, শটগান, রিভলবার, হাতবোমা, ককটেল, রামদা, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল, হকিস্টিক, নৌকার বইঠা ইত্যাদি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর একাধিক গুলি ছোড়ে। এ সময় একটি গুলি এসে কাউসারের নাভিতে বিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।