সাতক্ষীরায় ধানখেতে কুড়িয়ে পাওয়া বোমায় উড়ে গেল কবজি
ভাইয়ের সঙ্গে নিজেদের ধানখেতে গোবর সার ফেলতে গিয়েছিলেন কলেজছাত্র ইউনুস আলী (২৩)। এ সময় কুড়িয়ে পাওয়া বোমা হাতে তুলে পরীক্ষার সময় তাঁর বাঁ হাতের কবজি উড়ে গেছে। পাশাপাশি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর ডান হাত, মুখমণ্ডল, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ।
আজ বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের গোদাঘাটা গ্রামের ঘটনা এটি। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনুসকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এতে চিকিৎসককে ইউনুসের বাঁ হাতের কিছু অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ বোমার স্প্রিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
আহত ইউনুস আলী গোদাঘাটা গ্রামের ইয়াকুব আলী গাজীর ছেলে। তিনি ঝাউডাঙা ডিগ্রি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন।
ইউনুসের ভাই ফিরোজ হোসেন গাজী বলেন, আজ সকালে ভাই ইউনুসকে সঙ্গে করে তিনি ট্রলিতে বাড়ির গোবর সার নিয়ে গ্রামেই তাঁদের ধানের জমিতে ফেলছিলেন। বেলা দেড়টার দিকে তিনি রাস্তার পাশে একটি খেজুরগাছের নিচে শুকনা পাতা সংগ্রহের সময় একটি টেপ মোড়ানো কৌটা পেয়ে, তা ইউনুসকে ছুড়ে দেন। ইউনুস ওই কৌটা বাঁ হাতে নিয়ে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুলতে গেলে, তা বিস্ফোরিত হয়। এতে ইউনুসের বাঁ হাতের কবজি উড়ে যায়। সঙ্গে ডান হাত, বুক, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়। এ সময় ফিরোজেরও শরীরের বিভিন্ন অংশে বোমার অংশবিশেষ লেগে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
ইউনুসের বাঁ হাতের কিছু অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া ইউনুসের শরীরের বিভিন্ন অংশ বোমার স্প্রিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে প্রথমে সাতক্ষীরা শহরের বেসরকারি হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন হাফিজ উল্লাহর কাছে নেওয়া হয়। তিনি ইউনুসের অস্ত্রোপচার করেন। পরবর্তী সময়ে ইউনুসকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক হাফিজ উল্লাহ বলেন, ইউনুসের বাঁ হাতের কিছু অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে। এ ছাড়া ইউনুসের শরীরের বিভিন্ন অংশ বোমার স্প্রিন্টারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ধানখেতে কীভাবে বোমাটি এল, এর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।