সন্দ্বীপে স্পিডবোটডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ ৩, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপকূলে যাত্রীবাহী স্পিডবোটডুবির ঘটনার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পার হলেও নিখোঁজ ৩ শিশুর সন্ধান মেলেনি। দুর্ঘটনার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারের জন্য কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দুপুরের মধ্যে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সকালে ২২ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি সন্দ্বীপ উপকূলে ডুবে যায়। এতে নুসরাত জাহান আনিকা (১৩) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আনিকার দুই যমজ বোন আদিবা ও আলিফা এবং তাদের প্রতিবেশী মনির হোসেন নামের আরেক শিশু এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ তিন শিশুর বাড়ি উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
দুর্ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে উদ্ধারকারী দল গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। এরপর অন্ধকার নেমে এলে উদ্ধারকাজ সাময়িক স্থগিত করে প্রশাসন। পরে আজ সকাল ছয়টা থেকে আবারও অভিযান শুরু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সন্দ্বীপ স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল থেকে প্রশাসনের সহায়তায় তাঁরা একটি নৌকা নিয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে তিন শিশুকে খুঁজছেন। রাতে বিরতির পর আজ সকাল থেকে আবারও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
ইউএনও সম্রাট খীসা বলেন, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে তাদের উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে এ দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ সকালে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিনকে ওই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত নুসরাত জাহান আনিকার লাশ দাফনের জন্য তার পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।