সন্দ্বীপ চ্যানেলে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবি, চারজন উদ্ধার

উদ্ধারের পর সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাট এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের ইকোনমিক জোনে যাওয়ার পথে সন্দ্বীপ চ্যানেলে একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে গেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর সৈকত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে কুমিরা নৌ পুলিশের সদস্যরা বিকেল চারটার দিকে ভাসতে থাকা একজনসহ চারজনকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাল্কহেডের সুকানি বেলাল মাহমুদ (৪০), ইঞ্জিনচালক মো. পারভেজ হোসেন (১৮), বাবুর্চি মো. লিটন উদ্দিন (২৫) ও কর্মচারী আবদুল জলিল (১৯)। পারভেজের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায়। বাকিদের বাড়ি রামগতি উপজেলায়। তাঁরা চারজনই বাল্কহেডে ছিলেন।

নৌ পুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক একরাম উল্ল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে বালুভর্তি বাল্কহেডটি মিরসরাই ইকোনমিক জোনের ৫ নম্বর সেক্টরের দিকে যাচ্ছিল। উপজেলার আকিলপুর এলাকায় পৌঁছালে সৈকত থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে তলা ফেটে ডুবে যেতে থাকে। এ সময় নাবিকেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তখনো একজন সাগরে ভাসছিলেন। তাঁকে উদ্ধারের পরে জেলেদের নৌকা থেকে আরও তিনজনকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে এনে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

বাল্কহেডের সুকানি বেলাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে সাড়ে ছয় হাজার ঘনফুট বালু ভর্তি করে গতকাল সোমবার কর্ণফুলীর নতুন ব্রিজ এলাকায় আসেন। সেখানে রাত্রিযাপনের পর সকালে মিরসরাইয়ের ইকোনমিক জোনের ৫ নম্বর সেক্টরের দিকে রওনা দেন। দুর্ঘটনাস্থলে কিছু আগে তার বাল্কহেডের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। এরপর তারা সন্দ্বীপ চ্যানেলে ভাসতে থাকেন। এ সময় ইঞ্জিন মেরামতের চেষ্টা করছিলেন ইঞ্জিনচালক। কিন্তু সাগর উত্তাল থাকায় বাল্কহেডের তলা ফেটে ডুবতে শুরু করে। এরপর তারা ৯৯৯–এ ফোন দেন।