কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক ওরফে সাক্কু। সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে ওই চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান, দলীয় কার্যালয় ও বিভিন্ন হল ব্যবহার করে মহানগর, আদর্শ সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা, প্রচার-প্রচারণা করার অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচনী কার্যক্রম চালানোর অভিযোগও আনা হয়।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন রাতে প্রথম আলোকে খুদে বার্তায় বলেন, ‘আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করি না। আমি কোনো নির্বাচনী সভায় অংশগ্রহণ করি না। নির্বাচন ছাড়াও আমার অনেক কাজ আছে, সেগুলো আমাকে করতে হয়। সেই কাজ আমি করি।’
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি (সংসদ সদস্য) নির্বাচনী কাজ করছেন। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কাছে এর প্রতিকার চাই। এতে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং সমস্যা হচ্ছে।’
চিঠিতে মনিরুল হক উল্লেখ করেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে সব প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বহিরাগত নেতা-কর্মীদের আনাগোনা ও চলাচল দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে ও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মহানগর দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় নেতা-কর্মীদের একত্র করছেন। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের সঙ্গে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত নেতা-কর্মীদের ডেকে, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র নিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। ফলে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এতে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের স্বার্থে ও ভোটারদের মনে আতঙ্ক দূর করতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের অবৈধভাবে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান ও নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’