সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নারীর হাত–পা বেঁধে ফেলে যাওয়ার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় রোববার দিবাগত রাতে এক নারীর (৩৫) ঘরে ঢুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে বাড়ির পাশের বাগান থেকে উদ্ধার করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের ওই নারীর স্বামী মারা গেছেন। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন অন্য এলাকায়। ফলে তিনি একাই ঘরে থাকেন। রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে পাঁচ যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তাঁকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ঘরের বাইরে বাগানে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে ওই নারী রামগতি থানায় ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেন। এতে স্থানীয় জামাল হোসেনকে প্রধান করে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই চর কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চর কলাকোপা গ্রাম থেকে জামাল হোসেন (২৭) ও মো. সোহেলকে (২০) গ্রেপ্তার করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, পাঁচ যুবক মিলে ন্যক্কারজনকভাবে ওই নারীকে গণধর্ষণ করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।