শ্যামনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর, আহত ১৩
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় তিনটি বসতবাড়ি ও মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে ৬০-৭০ জনের একটি দল।
হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোবিন্দ বাউলিয়া বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেনG
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা ওই হামলা করেছে। যদিও থানা-পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা পল্লব মণ্ডল ও কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আকবর হোসেনের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন তরুণ এই হামলায় অংশ নেন। রাত আটটার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপে করে বংশীপুর এলাকা থেকে হামলাকারীরা আসেন।
এ বিষয়ে জানতে পল্লব মণ্ডল ও আকবর হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হামলার শিকার পিন্টু বাউলিয়া বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে বহিরাগত দুর্বৃত্তরা তাঁদের গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় তাঁর আত্মীয় নগেন বাউলিয়া, সুভাষ বাউলিয়াসহ তিনজনের বসতঘর এবং পাশের রাশ মন্দিরের একটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।
গোবিন্দ বাউলিয়া বলেন, হামলাকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তাঁর ভাইয়ের মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে তাঁর ভাইসহ পরিবারের ১৩ জন সদস্য আহত হন।
ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা কদমতলা গ্রামে যান। এর আগেই হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়।
ওসি নাজমুল হুদা বলেন, প্রেমঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা দুটি বসতবাড়ি ও একটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। তারা কয়েকজনকে মারধর করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। ওই ঘটনায় জড়িত লোকজনকে ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।