শ্বাসকষ্টে রিকশাচালকের স্ত্রী, রাতে অক্সিজেন পৌঁছে দিল পুলিশ
রিকশাচালক খলিল মিয়ার স্ত্রী জুলেখা বেগমের হৃদ্রোগ আছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ নাজিরপুল এলাকার বাসায় হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু খলিলের অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় তিনি এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন, স্থানীয় ডবলমুরিং থানার পুলিশ বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা দিচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করেন। ফোন পেয়েই অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে খলিলের বাসায় হাজির হয়ে যায় পুলিশ।
অক্সিজেন পেয়ে খলিলের স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট কমে। তিনি ভালো বোধ করেন। দুশ্চিন্তা দূর হয় খলিলের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। এদিকে হাতেও ছিল না টাকাপয়সা। শেষে পুলিশের কাছ থেকে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা পাই। পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ মহসিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে খলিলের বাসায় যায়। অক্সিজেন পাওয়ার পর খলিলের স্ত্রী এখন সুস্থ।’
ওসি মহসিন গত সোমবার তাঁর ফেসবুকে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা দেওয়ার বিষয়ে ভিডিও বার্তা দেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
পুলিশ সূত্র জানায়, নগর পুলিশের কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের নির্দেশে ১৮ এপ্রিল থেকে নগরের ১৬টি থানায় বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা চালু হয়। এ সেবার জন্য থানাগুলোয় এখন ৪৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে।
নগরের যেকোনো প্রান্তে যেকারও অক্সিজেন সেবার প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করলেই অক্সিজেনের সিলিন্ডার পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা।
নগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা যে সেবা দিচ্ছেন, তা এখনো যথেষ্ট প্রচার পায়নি। প্রচারের অভাবে অনেকে পুলিশের এ সেবা সম্পর্কে জানেন না। তবে তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে স্থানীয় লোকজনকে তাঁদের প্রয়োজন হলে এ সেবা গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।