শেরপুরের গারো পাহাড় থেকে মরা হাতি উদ্ধার

গারো পাহাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা মরা হাতি। শনিবার দুপুরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা আঠারঝোড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে একটি মরা হাতি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা গজনী বিটের সংরক্ষিত বনের আঠারঝোড়া এলাকা থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা মরা হাতিটি উদ্ধার করেন।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন রাখাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১১০২ নম্বর পিলারের কাছে ঝিনাইগাতী উপজেলার আঠারঝোড়া এলাকার পাহাড়ি ঝরনায় একটি বন্য হাতির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি তাঁরা বন বিভাগকে জানান। পরে সংবাদ পেয়ে বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিটের কর্মকর্তা এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরা হাতিটি উদ্ধার করেন।

শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আবু ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা মরা হাতিটি মাদি। এর বয়স ১০ থেকে ১২ বছর। এটি লম্বায় ১৪ ফুট ও উচ্চতায় সাড়ে ৬ ফুট। হাতিটি সংরক্ষিত বনের আঠারঝোড়ায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। এর শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। হাতিটি এক দিন আগে মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাদিয়া আফরিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাতিটি মারা গেছে। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এসিএফ আবু ইউসুফ আরও বলেন, মরা হাতিটিকে ঘটনাস্থলের পাশেই মাটিচাপা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় ঝিনাইগাতী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে।

এদিকে মরা হাতি উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমীন, ঝিনাইগাতীর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জয়নাল আবেদীন ও কাংশা ইউপির চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।