প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তাঁর গাড়িবহরে হামলা মামলায় আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন।
এ ছাড়া কলারোয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম ওরফে লাল্টু ও মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী পুনরায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহানকে কাঠগড়ায় আহ্বান করা হলেও তাঁকে জেরা করেননি আসামিপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সিরাজুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহাবুবউদ্দিন খোকন, শাহানারা আক্তার, আবদুল মজিদ, সৈয়দ ইফতেখার আলী ও মিজানুর রহমান।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনের রাস্তায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলামের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালান। হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা–কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদলের নেতা আশরাফ হোসেন, আবদুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা নালিশি আদালত ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, এ মামলায় সাবেক সাংসদ ও বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন। ২১ ডিসেম্বর আবারও সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য আছে।