শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবিতে মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় মোট ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নদীর পূর্বপাড়ে এনে তল্লাশি চালিয়ে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে আজ ২১ জনের এবং গতকাল গভীর রাতে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ তালিকায় আছেন অন্তত ৭ জন। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগের যে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মুন্সিগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮) ও অজ্ঞাত নারী (৩৪)।
যাত্রীবাহী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়।
এ ঘটনায় চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা) রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ দিকে আজ সকাল থেকেই নদীর তীরে স্বজনদের অপেক্ষা আর আহাজারি করতে দেখা যায়। উদ্ধার অভিযান চলার সময় নদীর তীরে স্থানীয় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় স্বজনদের কান্নায় সেখানে শোকের ছায়া নামে।