শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ টেনে তীরে আনা হয়েছে, তদন্ত কমিটি
নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি টেনে তীরে আনা হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দিয়ে লঞ্চটি ওঠানোর চেষ্টা চলছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে টেনে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধার পাঁচ লাশের মধ্যে চারজনের লাশ গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো উপজেলা প্রশাসনের তালিকায় নিখোঁজ আরও ২৮ জন। নদীর দুই পাড়ে স্বজনদের আহাজারি। স্বজনদের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন মুন্সিগঞ্জের রিকাবীবাজার এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহ আলম (৫১)। তিনি ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার মোহন মিয়া রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে লঞ্চে মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছিলেন। পথে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেলে মোহন মিয়া লাফিয়ে নদীতে পড়ে সাঁতরে তীরে ওঠেন। নিখোঁজ থাকেন শাহ আলম। এখনো তাঁর কোনো খোঁজ পাননি তাঁরা।
অন্যদিকে, মুন্সিগঞ্জের হোগলাকান্দি বড় বাড়ির মাকসুদা বেগম (৩২), তাঁর স্বামী আনোয়ার হোসেন (৪২) ও ৮ মাস বয়সী মেয়ে আইরিন নিখোঁজ আছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চারজনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন বলে স্বজনেরা ২৮ জনের নাম লিপিবদ্ধ করেছেন। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করে তীরে আনা হয়েছে।
স্বজনদের লাশ দাফনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।