শিমুলিয়া ঘাটে এখন ঈদকালের ভিড়

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। এমন চাপ শুধু ঈদের সময়ই দেখা যায়। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে
প্রথম আলো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল বুধবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ কারণে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেক বেড়েছে। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় এখন এই ঘাটে।

আজ মঙ্গলবার শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এমন চাপ শুধু ঈদের সময়ই দেখা যায়।

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ আজ সকাল ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, শিমুলিয়া ঘাট, রাস্তায় কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। যাত্রী ও যানবাহনের এতটাই চাপ যে ঘাট এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। লকডাউন উপেক্ষা করে ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। রোরো, ডাম্প, মিডিয়াম, কে–টাইপসহ ১৪টি ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে চলছেন সবাই।

ট্রলারে করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছেন অনেকে
প্রথম আলো

শিমুলিয়া ফেরিঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই শিমুলিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার বহু মানুষ বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। গত রোববার সকাল থেকেই ঘাটে চাপ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে চাপ অনেক বেশি বেড়ে যায়। গতকাল সারা দিনই ঘাটে যানবাহন ও মানুষের ভিড় ছিল। তবে আজ ভিড় সবকিছু ছাড়িয়ে গেছে। ঘাট ও সড়কে নয় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লঞ্চ যাতায়াত বন্ধ আছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, স্পিডবোট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তা চলছে। স্বাভাবিক সময়ে ট্রলারে অল্পস্বল্প যাত্রী পারাপার করা হলেও গতকাল ট্রলার বোঝাই করে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছিলেন চালকেরা।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
প্রথম আলো

শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল উদ্দিন বলেন, আজ সকাল থেকে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। এমন চাপ ঈদের দু-এক দিন আগে দেখা যেত। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। ঘাটে সাত শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। ঘাটে চাপ আরও বাড়তে পারে। রোববার দুই হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। আজকে এই সংখ্যা তিন হাজারের বেশি হবে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার লকডাউনের ঘোষণা দিলেও মানুষের মধ্যে তেমন সতর্কতা নেই। মানুষের বেপরোয়া চলাচলের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।