শিবপুরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, আরও একজন আহত
নরসিংদীর শিবপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় মো. নাঈম মিয়া (২২) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন টুটুল (২০) নামের আরও এক তরুণ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত নাঈম মিয়া শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি শেখ রাসেল শিশু–কিশোর পরিষদ শিবপুর পৌর শাখার সভাপতি। নাঈম পরিবারের সঙ্গে উপজেলা সদরের ডাকবাংলো এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
নাঈমের বন্ধু ও স্বজনেরা জানান, সোমবার বিকেলে শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে বন্ধুদের নিয়ে ইফতার করতে যান নাঈম। ওই বিদ্যালয়ে ঢোকার আগে কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ইফতার শেষে নাঈম ও টুটুল বাড়িতে ফেরার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের শরীরে উপর্যুপরি কোপায় হামলাকারীরা।
নাঈম ও টুটুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে গুরুতর আহত টুটুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে উপস্থিত নাঈমের কয়েক বন্ধু ও কর্মী বলেন, নাঈম শেখ রাসেল শিশু–কিশোর পরিষদ শিবপুর পৌর শাখার সভাপতি হলেও তিনি মূলত চলাফেরা করতেন স্থানীয় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।
১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আল আমিন শাওন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাঈম নামের তরুণের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত টুটুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দুজনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, নিহত তরুণের লাশ বর্তমানে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে রাখা আছে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া আরও বলেন, ঠিক কী কারণে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দ্রুতই তদন্ত শেষে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।