শাহজাদপুরে ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল নিয়ে খেলার সময় বিস্ফোরণে এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা বাজারপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিশুর নাম আবদুল্লাহ সরকার (৭)। সে ওই গ্রামের ফল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার ছেলে। ঘটনার পর পুলিশ লাল ফিতা দিয়ে বিস্ফোরণ এলাকা ঘিরে রেখে তদন্ত শুরু করে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ওই গ্রামের আবদুস সালামের বাড়ির পেছনের পুকুরের মাটি কেটে পুকুরটির সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। সকাল ১০টার দিকে শিশু আবদুল্লাহ গ্রামের মসজিদে আরবি পাঠ থেকে ফিরে ওই মাটি কাটার কাজ দেখতে যায়। এ সময় পাশের একটি পরিত্যক্ত জমিতে রাখা মাটির স্তূপের মধ্যে থেকে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি কৌটাসদৃশ কাদামাটি মাখানো বস্তু (ককটেল) কুড়িয়ে পায়। সেখানকার একটি শজনেগাছে আঘাত করে ওই কাদামাটি ছাড়ানোর সময় ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর শিশু হাসপাতাল এবং পরে বগুড়ায় ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
সকাল ১০টার দিকে শিশু আবদুল্লাহ মাটির স্তূপের মধ্যে থেকে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি কৌটাসদৃশ কাদামাটি মাখানো বস্তু (ককটেল) কুড়িয়ে পায়। সেখানকার একটি শজনেগাছে আঘাত করে ওই কাদামাটি ছাড়ানোর সময় ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
আহত শিশুর বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়ে তাঁর শিশুপুত্র আবদুল্লাহর হাতের কয়েকটি আঙুল ও মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। বর্তমানে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখন পর্যন্ত লাল ফিতা দিয়ে বিস্ফোরণ এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ হতে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।