শরীয়তপুর জেলা জজ আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাবীবুর রহমান ও তাঁর ভাই মনির হোসেন হত্যা মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে আদালত বর্জন ও কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ আদালত বর্জনের পর আইনজীবীরা বলেছেন, রায় ঘোষণা করা বিচারককে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। গত রোববার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন। রায়ে ৫২ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ৩৯ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি পলাতক।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, এ রায় নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ ও দুঃখ আছে। এ কারণে আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে আদালত বর্জন করা হয়েছে। সমিতির সদস্যদের সাধারণ সভা শেষে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন আইনজীবীরা। এ সময় প্রভাবিত হয়ে রায় দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসাইনের প্রত্যাহার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
শরীয়তপুর জজ কোর্টের পিপি মির্জা মো. হযরত আলী বলেন, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সব আদালতে কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত বর্জন করা হয়েছে। এ বিষয়ের কোনো লিখিত সিদ্ধান্ত আদালতে পৌঁছায়নি।
হাবীবুর রহমানের ছেলে ও পৌর মেয়র পারভেজ রহমান বলেন, ২০০১ সালে তিনিসহ স্বজনদের সামনে তাঁর বাবা ও চাচাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তাই কারা এ ঘটনায় জড়িত, তা তাঁরা দেখেছেন। হত্যা মামলার রায়টি তাঁরা মানতে পারছেন না। আসামিপক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।