শপথ নিলেন রাজশাহী বিভাগের ১২ পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলররা
রাজশাহী বিভাগের ১২টি পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররা শপথ গ্রহণ করেছেন। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ূন কবীর তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
যেসব পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা শপথ নিয়েছেন সেগুলো হলো রাজশাহীর মুণ্ডুমালা ও কেশরহাট, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নাটোরের সিংড়া, নওগাঁ ও ধামইরহাট, বগুড়ার শিবগঞ্জ, ধুনট, নন্দীগ্রাম, গাবতলী ও কাহালু।
বিভাগীয় কমিশনার প্রথমে মেয়রদের শপথবাক্য পাঠ করান। এই পর্বে মুণ্ডুমালা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান, কেশরহাটের শহিদুজ্জামান, পাবনার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান, কাহালুর আবদুল মান্নান, গাবতলীর সাইফুল ইসলাম, নন্দীগ্রামের আনিসুর রহমান, ধুনটের এ জি এম বাদশা, শিবগঞ্জের তৌহিদুর রহমান, ধামইরহাটের আমিনুর রহমান, নওগাঁর নজবুল হক, সিংড়ার জান্নাতুল ফেরদৌস ও রহনপুরের মতিউর রহমান খান শপথবাক্য পড়েন। এরপর এই ১২ পৌরসভার ৩৯ জন সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলরকে শপথ বাক্য পাঠ করান বিভাগীয় কমিশনার। শেষে এসব পৌরসভার ১১৭ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।
যেসব পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরা শপথ নিয়েছেন সেগুলো হলো রাজশাহীর মুণ্ডুমালা ও কেশরহাট, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নাটোরের সিংড়া, নওগাঁ ও ধামইরহাট, বগুড়ার শিবগঞ্জ, ধুনট, নন্দীগ্রাম, গাবতলী ও কাহালু।
শপথবাক্য পাঠ করানো শেষে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘পৌরসভা স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়েও এটি বড়। কিছু পৌরসভা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হলেও সীমিত সম্পদ নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখন থেকে মনে করতে হবে, আপনি পৌর এলাকার সব মানুষের মেয়র ও কাউন্সিলর। জনগণ আপনাদের সম্মান দিয়েছে। সেই সম্মান ধরে রাখতে হবে। কারণ, আপনার নামের সঙ্গে একটা “সিল” পড়ে গেছে। পরেরবার আপনি নির্বাচিত না হলেও সারা জীবনের জন্য আপনার নামের সঙ্গে “মেয়র” বা “কাউন্সিলর” শব্দটা যোগ হয়েছে। এটা একটা বিরল সম্মান। কাজেই এই সম্মান রক্ষা করে চলতে হবে।’
তৃতীয় ধাপে গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগের এই ১২ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. জিয়াউল হক ও উপপরিচালক চিত্রলেখা নাজনীন উপস্থিত ছিলেন।