লোহাগাড়ায় আসামির দায়ের কোপে পুলিশের কবজি বিচ্ছিন্ন

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মারামারির মামলার এজাহারভুক্ত আসামির বিরুদ্ধে এক পুলিশ কনস্টেবলের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের লালারখিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মো. জনি খান (২৮)। আহত অন্য দুজন হলেন কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন (২৭) এবং মামলার বাদী মো. আবুল হোসেন কালু।

সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আসামিকে ধরতে গিয়ে ওই আসামির দায়ের কোপে পুলিশের এক সদস্যের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আরও দুজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশের একটি দল আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য লালারখিল এলাকার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আসামি কবির আহমদ গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ধারালো দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ অনধিকার প্রবেশ ও মারামারির অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে কবির আহমদকে (৩৫) ২ নম্বর আসামি করা হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়ার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামি কবির আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য লালারখিল এলাকার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আসামি কবির আহমদ গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ধারালো দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেন। এতে দায়ের কোপে কনস্টেবল মো. জনি খানের এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি পুলিশের আরেক সদস্য শাহাদাত ও মামলার বাদী আবুল হোসেন আহত হন।

লোহাগাড়া উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাঁ হাতের কবজিবিচ্ছিন্ন এক পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় সামান্য আহত অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদস্য জনি খানকে আজ বিকেলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁকে সেখানে আপাতত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।