লঞ্চডুবিতে নিখোঁজ ৫ জনের সন্ধানে শীতলক্ষ্যায় চলছে উদ্ধার অভিযান
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনো পাঁচ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁদের স্বজনেরা। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের কাছে থাকা তালিকায় ওই পাঁচজনের নাম লিখিয়েছেন স্বজনেরা। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে নদীতে ডুবুরি দল কাজ করছে। সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাসিন্দা জয় রামের সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে আরোহী, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিষ কাঁঠালি এলাকার আবদুল্লাহ আল জাবের (২৭), মুন্সিগঞ্জের হাতেম আলী, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের উম্মে খাইরুল ফাতেমা ও জোবায়ের হোসেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নিখোঁজ ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করেছেন স্বজনেরা। এখনো তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, উদ্ধার ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে রাতেই হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, লঞ্চডুবিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোরে লঞ্চটি উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে টেনে নদীর তীরে আনা হয়েছে। লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
গতকাল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো রূপসী-৯-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ ছিলেন কয়েকজন। আজ সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় দুই শিশুসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের হোসেনদি এলাকা থেকে গতকালই কার্গো রূপসী-৯ জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। কার্গোর মাস্টারকে আটক করা হয়েছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বজলুর রশিদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।