চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড বয়কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় চিকিৎসকসহ তিনজন লাঞ্ছিত হন। রোগীর অক্সিজেন দেওয়াকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রোগীর এক স্বজনকে আটক করেছে।
আটক তুষার ইমরানের বাড়ি জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামে। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর হাবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের (পাস) ছাত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসাদহ গ্রামের বাসিন্দা হৃদ্রোগে আক্রান্ত লিটন আলীকে (৫০) নিয়ে তাঁর স্বজনেরা গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তবে রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করেন, পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে না। তবে হাসপাতালের কর্মীরা দাবি করেন, সবকিছু ঠিকমতো চলছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষই বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় রোগীর স্বজনদের মারধরে ওয়ার্ড বয় শিশির কুমার ঘোষ আহত হন। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসা কর্মকর্তা এ কে এম নাহিদ হাসান , চিকিৎসা সহকারী মো. রাশেদুজ্জামান ও অস্থায়ী কর্মী রানী খাতুন লাঞ্ছিত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রোগীর ভাতিজা তুষার ইমরানকে আটক করে। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাঁকে এবং আহত ওয়ার্ড বয় শিশির কুমার ঘোষকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সে করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁরা দুজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জীবননগর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) জুলিয়েট পারউইন বলেন, রোগী লিটন আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় রাতেই যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু স্বজনেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখেই চিকিৎসার জন্য চাপ দেন। অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও ফ্লো মিটারে দেখা না যাওয়ায় তাঁরা (স্বজনেরা) ওয়ার্ড বয়কে মারপিট ও বাকিদের লাঞ্ছিত করেন।
জুলিয়েট পারউইন জানান, ঘটনাটি জীবননগর থানা-পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গতকাল রাতের ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগীর ভাতিজা তুষার ইমরানকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।