রিমান্ড শেষে এহসান গ্রুপের রাগীবসহ চার আসামি কারাগারে

এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান
ফাইল ছবি

পিরোজপুরে প্রতারণা করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তাঁর তিন ভাইয়ের সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম চার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাসুদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতারণা ও জালিয়াতি করে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোড এলাকা থেকে এহসান গ্রুপর চেয়ারম্যান রাগীব আহসান ও তাঁর ভাই আবুল বাশার খানকে আটক করে র‍্যাব। ওই দিন বিকেলে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ রাগীব আহসানের দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খাইরুল ইসলামকে আটক করে।

এরপর পিরোজপুর সদর উপজেলার মূলগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা হারুনার রশিদ বাদী হয়ে রাগীব আহসান ও তাঁর চার ভাইকে আসামি করে ৯৭ গ্রাহকের ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা করেন। ১০ সেপ্টেম্বর মাহমুদুল হাসান ও খাইরুল ইসলামকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে র‍্যাব রাগীব আহসান ও আবুল বাশার খানকে পিরোজপুর সদর থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ তাঁদেরও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর রাগীব আহসান ও তাঁর চার ভাইয়ের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এসব মামলার মধ্যে চারটি সিআইডিতে ও একটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ১৩ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক ম. মহী উদ্দিন প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, রাগীব আহসান ও তাঁর তিন ভাইকে রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য মামলার তদন্তে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।