রাঙ্গাবালীতে গুলিতে সদস্য প্রার্থীর সমর্থক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চর মোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সদস্য প্রার্থী জিয়াউর রহমানের সমর্থক আবদুল খালেক (৪০) নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম আখতারুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

নিহত আবদুল খালেক পেশায় দিনমজুর এবং ওই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্বজন আবদুল মোমেন হান্নান বলেন, আবদুল খালেকের মা-বাবা, ভাই কেউ নেই। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যায় ভোটকেন্দ্রে হট্টগোলের খবর পেয়ে আবদুল খালেক কেন্দ্রের দিকে যান। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতেই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ওই ব্যক্তির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আজ দুপুরে ওই ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাঁর মৃত্যু কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহাফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাঙ্গাবালীতে নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় চর মোন্তাজ ইউপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় দুই কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ বিষয়ে ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ভোটের ফলাফল নিয়ে পরাজিত তিন প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করেছেন। তখন জানমাল রক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বারার বুলেট, পিস্তলের ২টি ফাঁকা গুলিসহ মোট ৩৭টি গুলি ছোড়া হয়েছে। এর মধ্যে চর আন্ডায় ৩১টি ও নয়ারচরে ৬টি গুলি ছোড়া হয়। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত।