ঘূর্ণিঝড় ইয়াস
যুগ চলে যায় টেকসই বাঁধের আশায়
ষাটের দশকের জীর্ণ, নিচু বাঁধ জোয়ারের পানিই আটকাতে পারছে না। জলোচ্ছ্বাস হলে তলিয়ে যাবে লোকালয়।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো এখন আর ওই অঞ্চলের মানুষের জানমালের সুরক্ষা দিতে পারছে না। ষাটের দশকে নির্মিত এসব বাঁধের অধিকাংশই ক্ষয়ে গিয়ে ও উচ্চতা কমে এখন জরাজীর্ণ। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন ও আম্পানের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত এসব বাঁধ। কোনো কোনো এলাকার সাময়িক মেরামত করা হলেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে বাঁধ উঁচু ও চওড়া করার কাজ সেভাবে হয়নি।
সরকারের উদ্যোগ, পরিকল্পনার ঘাটতিকে আরও প্রকট করে তুলছে জলবায়ুর পরিবর্তন। পলি জমে নদ-নদীর তলদেশ স্ফীত হয়েছে, বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। ফলে স্বাভাবিক সময়েই জীর্ণ, ভাঙাচোরা বাঁধ উপচে অনেক লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। আর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার উপকূলে পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। ফলে পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয় সয়লাব করেছে।
২০০৭ সালে সিডরের পর এসব জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলেছিল, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ গত বছর আম্পানের পরও পাউবো একই কথা বলেছিল। এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব শুরুর পরও পাউবো বলল, দক্ষিণাঞ্চলের এসব বাঁধ উঁচু করে সংস্কার ও ব্লক দিয়ে পাড় বাঁধাই করার কোনো বিকল্প নেই। পাউবোর কথা এক থাকলেও মাঝখানে সময় চলে গেছে ১৪ বছর। প্রতি বর্ষায় আতঙ্ক নিয়েই এই দীর্ঘ সময় পার করেছে মানুষ।
পাউবোর বরিশাল আঞ্চলিক প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগের ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে মাত্র ৫৯ কিলোমিটার বাঁধ টেকসই উন্নয়ন হয়েছে। বাকি বাঁধ সেই ষাটের দশকেরই রয়ে গেছে। এই বিপুল পরিমাণ বাঁধ বছর বছর জোড়াতালি দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে পাউবো।
খুলনা বিভাগে অবস্থা প্রায় একই। সেখানকার পাউবো জানিয়েছে, জমা দেওয়া প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অন্য দুটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
আম্পানের এক বছর পর ইয়াসের কবলে পড়ল উপকূলীয় অঞ্চল। গতকাল জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি ছিল। বাঁধ উপচে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড় অংকুজানপাড়াসংলগ্ন খোট্টার চর গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় এই গ্রামের ১৩ জন মারা গিয়েছিলেন। গতকাল বিকেলে কথা হয় এই গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ ছোমেদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কষ্ট তো লাইগ্গাই আছে। আইজগো বেয়ানে (আজ সকালে) আবার জোয়ারের পানি বাড়ছে। উডানে আডু (হাঁটু) হমান পানি। ঘরে তরাইতে (টিকতে) পারি নায়। শ্যাষে ঘরের সবাইরে লইয়্যা বড় রাস্তায় উঁচা জাগায় আশ্রয় নিছি। এহন রাইতের জোয়ারে তো পানি আরও বাড়বে। কী যে হরমু, কইতে পারি না!’
খোট্টার চরের বাসিন্দারা প্রতিবছরই এমন দুর্যোগের মুখোমুখি হন। ছোমেদ খানের ছেলে গোলাম কবির বলছিলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাগো বান্দা কইর্যা (বাঁধ বানিয়ে) দেবে বইল্লা আশ্বাস দেয়। কয়েকবার মাপজোকও করে গেছে। কিন্তু কামের কাম কিছুই অয় নাই। মোরা দিনে-রাইতের জোয়ারে দুইবার ভাসি।’ দক্ষিণ উপকূলের লাখো মানুষের দুর্ভোগের ভাষা এমনই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, যখনই দেশে বড় কোনো ঝড়-জলোচ্ছ্বাস হয়, তখনই এসব বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু ঝড় থেমে গেলে আলোচনাও থেমে যায়। উপকূলের মানুষের জীবনযাত্রা ও দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করছেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, দক্ষিণ উপকূলে বাঁধ নিয়ে মানুষের ভোগান্তির সূচনা হয় ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় থেকে। মূলত সিডরে এ অঞ্চলের বাঁধগুলোর সুরক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতাকে প্রকাশ করে।
বাঁধে ভাঙাগড়ার খেলা
পাউবো বরিশালের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে পাউবোর ১১ হাজার ৪৩০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৬০ কিলোমিটার আছে উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষার জন্য। যার অধিকাংশই বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা ও বরিশালে পড়েছে। এই ছয় জেলায় ৮২টি পোল্ডারের আওতায় প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে সিডরে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়। আর ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলা ও ২০১৩–তে মহাসেনের আঘাতে ছয় জেলার ৫২৭টি বাঁধের ৬৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ৫ দশমিক ১৯ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সর্বশেষ গত বছরের মে মাসের আম্পানে বরিশাল বিভাগের ১৬১ কিলোমিটার বাঁধ পুরোপুরি ও আংশিক ক্ষতি হয়।
পাউবোর বরিশাল আঞ্চলিক প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, বরিশাল বিভাগে ৮২টি পোল্ডারের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য প্রথমে ২০১০ সালে বিশ্বব্যাংকের ‘ইসিআরআরপি’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পরে তহবিল জটিলতার কারণে বছর দুয়েক কাজ বন্ধ থাকে। ২০১৪ সালের জুনে সে কাজ আবার শুরু হয়।
একই সূত্র আরও জানায়, এরপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০১৬–১৭ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের প্রায় ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (সিইআইপি) আওতায় বরগুনার আরও দুটি, পটুয়াখালী জেলায় তিনটি ও পিরোজপুর জেলার একটিসহ ছয়টি পোল্ডারের বাঁধ উঁচুকরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আওতায় ৫৯ কিলোমিটার বাঁধ উঁচু করে নতুনভাবে নির্মাণ ও পাড় ব্লক দিয়ে বাঁধাই করার কাজ শুরু হয়। এই কাজের ৬৪ ভাগ শেষ হয়েছে। একই প্রকল্পে খুলনা অঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ উঁচু করে নির্মাণকাজ হাতে নেওয়া হয়।
জানতে চাইলে পাউবোর বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাঁধগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়টি এখন আলোচনা নয়, বাস্তবতা। আমরা সে লক্ষ্যে প্রতিবছরই প্রকল্প তৈরি করছি, মন্ত্রণালয়ে জমা দিচ্ছি। অনেক প্রকল্প অনুমোদনও হয়েছে। তবে আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি লোকালয়ে
পিরোজপুরে ইয়াসের প্রভাবে ও পূর্ণিমার জোয়ারে কচা ও বলেশ্বর নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইন্দুরকানি উপজেলায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে লোকালয় ও মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝের চরের বাঁধ ভেঙে বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
একই উপজেলার টগরা গ্রামের সোয়া তিন কিলোমিটার বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ৩৫০ পরিবার। গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ (গতকাল) জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। দুপুরে অনেক বাড়িতে রান্না হয়নি।
পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ উপচে অন্তত ১৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবনসংলগ্ন নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকটি স্থানে বেঁড়িবাধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বালুর বস্তা দিয়ে তা বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ভোলায় জোয়ারে ২৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় ৮৫ হাজার পরিবার। ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, দুপুরে জোয়ারের সময় মেঘনায় পানির উচ্চতা ছিল ৩ দশমিক ৯৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ওপরে।
এ ছাড়া ঝালকাঠি সদর, নলছিটি ও রাজাপুরের ১৫টি এলাকায় বাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া গ্রামের মাজেদ গাজী জানান, কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি পাউবোর বাঁধ ছাপিয়ে চিংড়িঘেরে ঢুকে পড়েছে।
খুলনার বাঁধ উঁচুকরণ প্রকল্প
আম্পানের পর খুলনার কয়রা, দাকোপ ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য তিনটি প্রকল্প হাতে নেয় পাউবো। কিন্তু এক বছরেও প্রকল্পগুলো অনুমোদন পায়নি।
জানতে চাইলে খুলনা বিভাগীয় পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবদুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জমা দেওয়া প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেকে পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অন্য দুটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। আশা করা যায়, খুব শিগগির প্রকল্পগুলো পাস হয়ে যাবে।
বাঁধ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় শ্যামনগরের গাবুরা এলাকায় ৩০ কিলোমিটার, কয়রায় ৩০ কিলোমিটার এবং দাকোপে ৫০ কিলোমিটার বাঁধ হওয়ার কথা। বাঁধের উচ্চতা ধরা হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ মিটার। চওড়াও ৫ মিটার। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে শ্যামনগরের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা, কয়রার জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ও দাকোপের জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
আইলার পর কয়রা, দকোপ, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সাগরের নোনা পানিতে তলিয়ে ছিল কয়েক বছর। গত বছর আম্পান আঘাত হানার পর দাকোপে খুব বেশি ক্ষতি না হলেও কয়রা, আশাশুনি ও শ্যামনগর এলাকার কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েক মাস পানিবন্দী থাকতে হয় মানুষকে। এই চার উপজেলার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি স্থানে বাঁধে জরুরি মেরামতের কাজ চলছে।
কয়রায় ৩২টি স্থানে ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ করা হয়েছে। কাজগুলো বেশির ভাগই করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা। এসব স্থানে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দায়সারাভাবে কাজ করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। কারণ, ইয়াসের প্রভাবে গতকাল সকালের জোয়ারেই ওই স্থানগুলো দিয়ে উপচে ও চুইয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে ও পাউবোর সহায়তায় সেই পানি আটকানোর চেষ্টা করছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মুনসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যতটা আগ্রহ, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণে ততটা দেখা যায় না। বুয়েট থেকে এমন প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে, যাতে ঝড় এলে বাঁধের কোথায় কোথায় ভাঙবে, তা আগে থেকে জানা সম্ভব। ফলে এপ্রিল-মে এবং নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম শুরুর আগে এগুলো মেরামত করলেই চলে। তাহলে ঝড়ের সময় এত দৌড়াদৌড়ি করে টাকা নষ্ট করার দরকার হয় না।