মৌসুমের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন গেলেন ১০৫৮ পর্যটক
ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ ও এমভি ফারহান নামে তিনটি জাহাজে করে ১ হাজার ৫৮ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিন গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টার পর থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে আবারও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল থেকে এ নৌপথে পর্যটক পারাপারে নিয়োজিত জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নাফ নদীর তীরঘেঁষা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার ঘাটে পর্যটকেরা বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়িযোগে আসেন। এরপর টিকিট সংগ্রহ করেন।
সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ২৯২, আটলান্টিক ক্রুজ ৩৮৪ ও এমভি ফারহান ৩৮২ জন পর্যটক নিয়ে সেন্ট মার্টিন গেছে। পরে বেলা তিনটার দিকে ফিরে আসে জাহাজগুলো। তবে প্রায় ৪০০ পর্যটক রাতযাপনের জন্য থেকে যান।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের সমন্বয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মৌসুমে এ নৌপথে চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষ কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, আটলান্টিক ক্রুজ, এমভি ফারহান ও কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে চারটি জাহাজকে আগামী বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজও চলাচল শুরু করবে।
কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে এ নৌপথে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৬ মাস জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সাগর শান্ত ও পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের কথা চিন্তা করে আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় সেন্ট মার্টিনে হোটেল, কটেজসহ প্রতিটি আবাসিক ও খাবার হোটেলে মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাহাজ কর্তৃপক্ষ যাতে কোনো ধরনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করে, সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। তাদেরও ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।