মোটরসাইকেলচোরদের হামলায় ব্যবসায়ী নিহত
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেলচোরদের হামলায় এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বাইতুল ইজ্জতের কেঁওচিয়া বন গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. শফিকুল ইসলাম (৪০)। আহত হয়েছেন শফিকুল ইসলামের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও আবু তৈয়ব। শফিকুল সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এলাকার মৃত আবদুল হাফেজের ছেলে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার কেঁওচিয়ার বাইতুল ইজ্জতের সত্যপীরের দরগাহ এলাকায় বসবাস করছেন।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর পাঁচটার দিকে মোটরসাইকেলচোর চক্রের কয়েকজন সদস্য দরগাহ এলাকায় জাহাঙ্গীরের বসতঘর থেকে তাঁর মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। জাহাঙ্গীর ও তাঁর বন্ধু আবু তৈয়ব মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটি টের পেয়ে চোরের দলের পিছু নেন। তাঁরা ধাওয়া করে বন গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় এক চোরকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় চোরের দলের অন্য সদস্যরা পাশের ঝোপের মধ্যে আত্মগোপন করেন।
মোটরসাইকেলচোর ধরার খবর শুনে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শফিকুলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় চোরের দলের দুই সদস্য লোহার রড হাতে নিয়ে ফিরে এসে শফিকুলসহ বাকিদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে আটক চোরকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত শফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনির আহমদ বলেন, শফিকুল গাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর বাবা ৪০ থেকে ৪৫ বছর আগে সুনামগঞ্জ থেকে কেঁওচিয়ায় এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। চোরের দলের হামলায় শফিকুরের মাথার পেছনে গুরুতর জখম হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। শফিকুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া চোরের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।