মুন্সিগঞ্জে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন ধর্ষণ মামলার আসামি

মীর লিয়াকত আলী
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধর্ষণ মামলার এক আসামি নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর নাম মীর লিয়াকত আলী। তিনি এই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান। গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত যেসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মীর লিয়াকত আলীর নাম আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউপির চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলীর কার্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগসংবলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সিরাজদিখান থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে চেয়ারম্যান লিয়াকতকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মীর লিয়াকত আলী কারাগারে আছেন। তাঁর পক্ষে আমাদের কাছে আবেদনপত্র পাঠানো হয়। উপজেলা থেকে যতজন নৌকার জন্য আবেদন করেছেন, সবার আবেদন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়। এখান থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে ইচ্ছা বাদ দিয়ে নাম কেন্দ্রে পাঠাতে পারে। লিয়াকতের নামটি তারা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, লিয়াকত কোলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি বর্তমানে একটি মামলায় কারাগারে আছেন। তবে অভিযোগটি বিচারাধীন। তাঁর পক্ষে তাঁর ছেলে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন জমা দেন। অন্যদের সঙ্গে তাঁর নামটিও কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করে দেওয়া হয় তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাঁকে কোলা ইউনিয়নে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে নাম ঘোষণা করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির নাম দলীয় মনোনয়নের জন্য এলে তা বাদ দিয়ে জেলা কমিটির কাছে পাঠাতে পারেন কি না—জানতে চাইলে লুৎফর রহমান বলেন, ‘যারা দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী, তাদের মধ্যে যদি কেউ বিতর্কিত থাকে, চাইলেই উপজেলা কমিটি তাদের নাম বাদ দিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারে। যেসব নাম আমাদের কাছে আসে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পরে কেন্দ্রে পাঠানো হয়।’