মুঠোফোনে প্রেম, পরে ধর্ষণ করে ছড়িয়ে দিলেন ভিডিও

ধর্ষণ।
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর নাম সোহেল রানা (২৮) ওরফে ফেসবুক লিটন। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

মামলার এজাহার, পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর সঙ্গে সোহেল মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। কিশোরী এই ঘটনার পর সোহেলকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে এবং ঘটনাটি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। সোহেল ধর্ষণের ভিডিও ও মেয়েটির আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। গতকাল রোববার মেয়েটির পরিবার বিষয়টি থানাকে জানায়। কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ বখাটে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সোহেল রানা ওরফে লিটন এলাকায় ফেসবুক লিটন হিসেবে পরিচিত। ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এলাকায় তিনি ছোট-বড় সবার কাছে এই নামে পরিচিত। এলাকায় তিনি বখাটে হিসেবে পরিচিত। স্কুল ও কলেজের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার একাধিক অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সামাজিকভাবে একাধিকবার সালিসও হয়েছে।

কিশোরীর মা–বাবা এই ঘটনায় বখাটের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, লিটন তিনটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার বিষয় আঁচ করতে পেরে সকালে তিনি রাজশাহী শহরে চলে যান। পুলিশ তাঁর পিছু নিলে তিনি ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করেন। রাতে বাড়ি ফিরে এলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।