মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ায় পেলেন সহায়তা

মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ায় ইউসুফকে হাঁস মুরগীর খামার গড়তে অর্থ সহায়তা দেন পুলিশ সুপর। সহায়তার ওই টাকা ইউসুফ আলীর হাতে তুলে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ হোসেন। রোববার দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামে
প্রথম আলো

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ইউসুফ হাওলাদার মাদক ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন। আয়রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন তিনি। তাঁকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছেন পুলিশের অপর এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা। তিনি তাঁকে হাঁস–মুরগির খামার করার জন্য নগদ সহায়তা দিয়েছেন। এ ঘটনা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঘটেছে।

আজ রোববার দুপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামে ইউসুফ হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন। এ সময় মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা, মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সুলতান মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একসময় ইউসুফ হাওলাদার (৪৪)  মাদকের ব্যবসা করতেন। মাদক ব্যবসা করার অপরাধে তিনি কারাগারেও ছিলেন। কয়েক মাস আগে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলামের আহ্বানে ইউসুফ হাওলাদার আত্মসমর্পণ করে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ইচ্ছার কথা জানান।

সম্প্রতি ইউসুফ হাওলাদার বাড়িতে গড়ে তোলেন হাঁস–মুরগির খামার। ইউসুফ হাওলাদারকে খামার করতে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হায়াতুল ইসলাম খান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ইউসুফ হাওলাদারকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেন।

সম্প্রতি ইউসুফ হাওলাদার বাড়িতে গড়ে তোলেন হাঁস–মুরগির খামার। ইউসুফ হাওলাদারকে খামার করতে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হায়াতুল ইসলাম খান সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ইউসুফ হাওলাদারকে নগদ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন সহায়তার টাকা ইউসুফ হাওলাদারের হাতে তুলে দেন।

ইউসুফ হাওলাদার বলেন, ‘একসময় মাদকের ব্যবসা করতাম। তবে সে সময় ভয়–আতঙ্ক নিয়ে জীবন পার করেছি। অন্ধকারের পথ থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পথ খুঁজেছি। যখন ডিআইজি স্যার আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিলেন, আমি আত্মসমর্পণ করলাম। বর্তমানে করোনাকালে আমরা কর্মহীন। ঘরে খাবার নেই। এ সময় পুনর্বাসনের জন্য এসপি স্যারের কাছ থেকে নগদ অর্থ পেয়ে আমি খুবই উপকৃত হলাম।’

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ইউসুফ হাওলাদার স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে মাদকের ব্যবসা ছেড়েছেন। তাঁকে পুনর্বাসনের জন্য হাঁস–মুরগির খামার করতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।