২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মাগুরার সাতটি ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা

প্রতীকী ছবি

মাগুরায় সরকারি নিবন্ধন না থাকাসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ব্যক্তিমালিকানাধীন সাতটি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বেসরকারি ক্লিনিক, তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ও তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মাগুরা শহরের বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মাগুরা শহরের ভায়না টিটিডিসি পাড়ার নিউ একতা ক্লিনিক, হাজি আবদুল হামিদ সড়কের মা প্রাইভেট হাসপাতাল, মাগুরা কিংস প্রাইভেট হাসপাতাল, মাগুরা কুইন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শহরের হাসপাতাল পাড়ার গ্রামীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একই এলাকার দ্য ল্যাবস্ক্যান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পিটিআই সড়কের দেশ প্রাইভেট হাসপাতাল।

এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সরকারি নিবন্ধন নেই। পরিদর্শনকালে চিকিৎসক, নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবলও দেখা যায়নি। এ ছাড়া যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকাসহ চিকিৎসার অনুকূল পরিবেশর নানা রকম ঘাটতি রয়েছে।
প্রদীপ কুমার সাহা, সিভিল সার্জন, মাগুরা

মাগুরার সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সরকারি নিবন্ধন নেই। পরিদর্শনকালে চিকিৎসক, নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবলও দেখা যায়নি। এ ছাড়া যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকাসহ চিকিৎসার অনুকূল পরিবেশর নানা রকম ঘাটতি রয়েছে। এসব কারণে আজ থেকেই এগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ডাক্তার ও নার্স না থাকায় আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। কিন্তু মাগুরায় এমন অনেক ক্লিনিক চালু রয়েছে, যাদের ডাক্তার ও নার্স নেই।
নাজমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মা প্রাইভেট হাসপাতাল

বন্ধ হওয়া হাজি আবদুল হামিদ সড়কের মা প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘ডাক্তার ও নার্স না থাকায় আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। কিন্তু মাগুরায় এমন অনেক ক্লিনিক চালু রয়েছে, যাদের ডাক্তার ও নার্স নেই।’ এদিকে অভিযানে ভায়না টিটিডিসি পাড়ার নিউ একতা ক্লিনিক বন্ধ ঘোষিত হলেও ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক রনি মিয়া তা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের ক্লিনিক তো বন্ধ করেনি। আমাদের কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে বলা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’