‘মসলিন পুনরুদ্ধার বাঙালি জাতির একটি বড় অর্জন’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর প্রতীক গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ‘বাঙালি জাতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য মসলিন পুনরুদ্ধারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে আমরা বাঙালিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারব। তাই মসলিন ফিরে পাওয়া বাঙালি জাতির বড় একটি অর্জন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মসলিন প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার প্রকল্প’ শীর্ষক গবেষণার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ভবনে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, মসলিন পুনরুদ্ধারে যা যা প্রয়োজন, তা আমরা দেব। প্রথমে আমার একটু সংশয় ছিল, এর সুতা এত সূক্ষ্ম! শুরুতে তো তুলাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে গবেষকেরা যুক্তরাজ্য জাদুঘর থেকে এসে আমাকে বলেছিলেন, আমরা নিশ্চয়ই করতে পারব। তাঁরা শেষ পর্যন্ত সত্যিই সফল হয়েছেন। আশা করি, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মসলিন তুলে দিয়ে তাঁর মসলিন পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।’
আশা করি, মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মসলিন তুলে দিয়ে তাঁর মসলিন পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা চেষ্টা করব যেন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করে মসলিন বাজারে দেওয়া যায়। যেন বেশি দামি হলেও সাধারণ মানুষের জন্য মসলিন বাজারে থাকে। পরে আমরা আরও কম দামে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সভায় প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলী ও প্রকল্প কমিটির সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে ঢাকাই মসলিন হারিয়ে যায়। কিন্তু এর আগে কখনো সরকারি উদ্যোগে মসলিন পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নির্দেশ দেন। এতে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা কাজ করছেন। এরই মধ্যে ঢাকাই মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বত্বের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের মসলিন প্রকল্পের আয়োজনে সভাটি সঞ্চালনা করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনজুর হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. অলিউল্লাহ, তাঁত বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ আলম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আদিবা আনজুম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া প্রমুখ।