মদনে স্কুলছাত্রীকে একসঙ্গে ৪ ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ
নেত্রকোনার মদনে এক স্কুলছাত্রীকে করোনার টিকার পরপর চার ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই ছাত্রীকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম আবিদা বিনতে আজিজ (১৪)। সে মদন শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং মদন পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল থেকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবিদা করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হাসপাতালে যায়। এ সময় টিকাদান কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা একজন নার্স মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে তার ডান হাতে পরপর চার ডোজ টিকা দেন। পরে ওই ছাত্রী নার্সের কাছে জানতে চায়, দ্বিতীয় ডোজের টিকা চারবার দেওয়া হয় কি না? এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নার্স কৌশলে টিকাকেন্দ্র থেকে সটকে পড়েন। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর মা ও স্বজনেরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরে তাকে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। বিকেল চারটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আবিদার মা রাজিয়া সুলতানা ও চাচা মদন জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবিদাকে পরপর চার ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এতে মেয়েটি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাতে ব্যথা হচ্ছে। বিষয়টি হাসপাতালের চিকিৎসক রিফাত সাঈদকে জানানোর পর আবিদাকে তিনি তাঁর তত্ত্বাবধানে রেখেছেন। তবে চিকিৎসকসহ নার্সরা চার ডোজ টিকা দেওয়ার কথা স্বীকার করছেন না। তাঁরা বলেছেন, এক ডোজ টিকাই দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
এ বিষয়ে চিকিৎসক রিফাত সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে নার্সরা জানিয়েছেন, তাঁরা শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে চার ডোজ টিকা দেননি।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার স্বজনদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাকে হাসপাতালে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। আর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। যদি কোনো নার্স একসঙ্গে চার ডোজ টিকা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’