ভোটের আগের রাতে যুবলীগ নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর, অস্ত্রসহ ছবি ফেসবুকে
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগের রাতে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথি চৌধুরীসহ তিনজনকে স্থানীয় লোকজন মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রসহ পার্থসারথির ছবি তুলে ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। পরে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে।
যুবলীগের এই নেতা ও তাঁর সঙ্গীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে খাগরিয়া ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। আজ সোমবার এই ইউপিতে ভোট চলছে।
আজ সকালে জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘তারা সবাই বহিরাগত, কারও বাড়িই এখানে না। গতকাল রাত ১২টার পর তারা আমাদের ইউনিয়নে এসেছে। তখন স্থানীয় লোকজন তাদের অস্ত্রসহ ধরতে পেরে মারধর করে। এরপর আমি পার্থসারথিকে উদ্ধার করে আমার বাড়ি নিয়ে আসি। পরে পুলিশ এলে স্থানীয় লোকজন তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।’
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাগরিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদেরপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে একটি ব্যক্তিগত গাড়িসহ পার্থসারথি ও সঙ্গীদের আটক করেন স্থানীয় লোকজন। এরপর তাঁদের গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। মুঠোফোনে ছবি তুলে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পার্থসারথিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের বাড়িতে নেওয়া হয়। পরে অস্ত্রসহ তাঁর একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত অবস্থায় পার্থসারথি বসে আছেন। পাশে অস্ত্রটি রাখা আছে। রাত একটার দিকে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। পরে সাতকানিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পার্থসারথির বড় ভাই সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রদীপ কুমার চৌধুরী বলেন, পার্থ খাগরিয়া যাওয়ার সময় জসিমের লোকজন নাজেহাল করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনকে মারধর করা হয়। পরে অস্ত্র দিয়ে একটা ছবি তোলা হয়।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান প্রথম আলোকে বলেন, খাগরিয়ায় পার্থসারথি ও কয়েকজনকে হেনস্তা করা হয়। অস্ত্রের বিষয়টা সঠিক নয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।